Wednesday, December 25, 2024
Home Politics জিয়াউর রহমান যখন স্বাধীনতার ঘোষণা দেন, আমি পাশে বসা ছিলাম: অলি আহমদ

জিয়াউর রহমান যখন স্বাধীনতার ঘোষণা দেন, আমি পাশে বসা ছিলাম: অলি আহমদ

by radesk
0 comments

ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অলি আহমদ বীর বিক্রম বলেছেন, জিয়াউর রহমান যখন স্বাধীনতার ঘোষণা করেন, তখন আমি পাশে বসে ছিলাম। জিয়াউর রহমানই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন।

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

অলি আহমেদ বলেন, ১৯৭৩ সালে জিয়াউর রহমানের নিজ হাতে লেখা একটি ডকুমেন্ট আছে আমার কাছে। সেখানে তিনি লিখেছেন, ক্যাপ্টেন অলি আহমদ বিদ্রোহের জন্য মুখ্য ভূমিকা পালন করে। পরের বছর আমার অ্যানুয়াল কনফিডেন্সিয়াল রিপোর্ট লিখেন তৎকালীন মেজর মীর শওকত আলী। সেই রিপোর্টে লেখা আছে, আমিই মেজর জিয়াকে পরামর্শ দিয়েছি স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার জন্য। অর্থাৎ এই বিষয়টি মীমাংসিত।

তিনি বলেন, পটিয়া থানায় বসে আমরা স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। আমি জিয়াউর রহমানকে বললাম, আপনি রেডিও স্টেশনে চলে যান। তাকে আমি গার্ড দিয়ে পাঠিয়ে দিলাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে। এটা ছিল ট্রান্সমিটিং স্টেশন। এটাকে কিছুটা পরিবর্তন করে করা হয় ব্রডকাস্টিং স্টেশন। সেখানে জিয়াউর রহমান লিখলেন, আই মেজর জিয়া ডিক্লেয়ার মাইসেল্ফ অ্যাজ প্রভিশনাল হেড অব দ্য স্টেট এন্ড আর্জ অল দ্য কান্টিস অব দ্য ওয়ার্ল্ড টু সাপোর্ট আস। অর্থাৎ অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিজেকে ঘোষণা করলাম এবং বিশ্বের সব দেশকে আমাদের স্বীকৃতি, অস্ত্র, খাদ্য, ওষুধ দেওয়ার অনুরোধ জানালাম।

জিয়াউর রহমানই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন দাবি করে অলি আহমদ বলেন, ৩০ মে সন্ধ্যায় তিনি দ্বিতীয়বার স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। সেই সময় আওয়ামী লীগের কোনো নেতা মাঠে ছিল না, সবাই পালিয়ে ছিল। পালিয়ে আগরতলা, কলকাতায় গিয়ে হেমা মালিনীর সিনেমা দেখেছে। এরা কোনো যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে নাই। যুদ্ধ আমরা করেছি, যারা যুদ্ধবিদ্যায় পারদর্শী। অষ্টম বেঙ্গল রেজিমেন্ট না হলে বিদ্রোহ হতো না।

তিনি বলেন, ফোর বেঙ্গল রেজিমেন্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছিল; ক্যান্টনমেন্টের বাইরে। কোনো ঝুঁকি ছিল না। খালেদ মোশারফ আগে থেকেই জানত আমরা বিদ্রোহ করবো। তবুও তারা বিদ্রোহ করেছে ২৯ তারিখ, কী কারণে করলো? ফার্স্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ৩০ তারিখে বিদ্রোহ করলো, তাও করলো আংশিক, মাত্র একটি কোম্পানি। জয়দেবপুরে ছিলেন শফিউল্লাহ সাহেব, তিনি ছিলেন ঢাকার সবচেয়ে কাছে। ঢাকায় মারামারি শুরু হলো ২৫ মার্চ রাতে তাদের তো উচিত ছিল ঢাকায় এসে পাকিস্তানিদের আক্রমণ করা। কিন্তু তারা তা না করে বিদ্রোহ করেছে ৩০ তারিখ।

সারাদেশে কোনো আওয়ামী লীগের নেতারা যুদ্ধে অংশ নেননি উল্লেখ করে কর্নেল অলি বলেন, এক সময় আমাদের সাথে যোগ দেন ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ। তাকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম আমাদের খাবারের ব্যবস্থা করতে। পরবর্তীতে তিনি দুইটা খাদ্য-গুদামের খাবার বিক্রি করে দিয়ে আগরতলা চলে যায়। আমাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো নেতা যুদ্ধে অংশ নেয়নি। ছাত্র-জনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল।

You may also like

Leave a Comment

Rajneeti Ajkal is a leading news portal dedicated to providing comprehensive coverage of news, current affairs, political analysis, and the contemporary landscape of Bangladesh.

Rajneeti Ajkal, A Media Company – All Right Reserved. Designed and Developed by Rajneeti Ajkal