সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচনপদ্ধতি বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে জুতসই নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এ ধরনের নির্বাচনপদ্ধতি একটি সরকারের স্থিতিশীলতার পরিপন্থী।
গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় লন্ডনে বাংলা গণমাধ্যমের সঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এই মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা যে “ওয়েস্টমিনস্টার ডেমোক্রেসি” অনুসরণ করি, সেখানেও সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচন নেই। এটা শুধু ইউরোপের কিছু দেশে আছে। আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে একমাত্র নেপালে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনপদ্ধতি আছে। তারা এটা নিয়ে বেশ সমস্যায় আছে। প্রতিবছর এই একটা কারণে নেপালের সরকার পরিবর্তিত হয়। বাংলাদেশের বেশির ভাগ রাজনৈতিক দলও এই পদ্ধতিতে নির্বাচন চায় না।’
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি কেমন হবে, এক সাংবাদিকের এ প্রশ্নের উত্তরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে কী নীতি হবে, সেটা নির্ভর করবে আমাদের প্রয়োজনের ওপর, তাগিদের ওপর। কিন্তু আমার সার্বভৌমত্বের ওপর যদি কোনো আঘাত পড়ে, সেটা আমরা সহ্য করব না। এটা আমি পরিষ্কার করে বলছি, আমার দেশের ভেতরের বিষয়ে আমি সিদ্ধান্ত নেব, অন্য কেউ সিদ্ধান্ত নেবে না। এখানে কেউ দাদাগিরি করতে এলে তা আমরা কখনোই মেনে নেব
না। আমরা ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন করেছি পাকিস্তান থেকে বেরিয়ে এসে ভারতের পেটের মধ্যে ঢোকার জন্য নয়।’
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শেখ হাসিনা বলেছিলেন তাঁর অপরাধ কী? আমি বলছি, বাংলাদেশে গণতন্ত্র হত্যা করাই শেখ হাসিনার সবচেয়ে বড় অপরাধ। বহুদিন আগে বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি শেখ হাসিনাকে রং হেডেড বলে মন্তব্য করেছিলেন। তিনি যদি দেশকে, দেশের মানুষকে এতই ভালোবাসেন, তাহলে দেশে এসে এসব মোকাবিলা করছেন না কেন? তিনি যখন দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেন। আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া কখনো দেশ ছেড়ে যাননি। তিনি সব সময়ই দেশ ছেড়ে চলে যান। এবারও পালিয়ে গেলেন। তিনি যখন পালালেন, তখন তাঁর নেতা–কর্মীরা কেমন আছেন, কোন অবস্থায় আছেন, সেই চিন্তাও করেননি।’
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন বাংলা গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিক, ইউকে বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, সিনিয়র সাংবাদিক এবং যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক ও সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমদ উপস্থিত ছিলেন।