চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার আসামি চন্দন দাসকে ৭ দিন ও রিপন দাসের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ শুক্রবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরিফুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. মফিজুল হক ভূঁইয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘কোতোয়ালী থানা পুলিশ দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে চন্দন দাসের ৭ দিনের ও রিপন দাসের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
শুক্রবার বিকেলে কড়া নিরাপত্তায় চন্দন ও রিপনকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত প্রাঙ্গণে নিরাপত্তায় বিপুল পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে চন্দন দাসকে ও চট্টগ্রামের আনোয়ারা থেকে রিপন দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে, আইনজীবী সাইফুল হত্যার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ৫২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হয়।
সে ফুটেজে কমলা রঙের টি-শার্ট ও কালো প্যান্ট পরিহিত চন্দনকে কিরিচ হাতে সাইফুলকে কোপাতে দেখা যায়। চন্দনের মাথায় ছিল হেলমেট। আর রিপনের হাতে ছিল বটি।
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর হওয়াকে কেন্দ্র করে গত ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালতে তার ভক্ত-অনুসারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষ হয়।
এসময় চিন্ময় অনুসারীদের হামলায় সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহত হন। তার মৃত্যুর জন্য ইসকন সদস্যদের দায়ী করেছেন আইনজীবীরা।
চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় ৩১ জনকে আসামি করে নিহতের পরিবার মামলা করে। গত শনিবার নগরের কোতোয়ালী থানায় এই মামলা দায়ের করেন সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন।
মামলায় এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাতনামা ১০-১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা দেওয়া, আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরো ৫টি মামলা হয়েছে। এ ৬ মামলায় এখন পর্যন্ত ৪১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার মধ্যে হত্যার ঘটনার দায়ের হওয়া মামলায় ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।