চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি চন্দন দাস জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তাকে এক বোতল মদ খাইয়ে দিয়ে এক ব্যক্তি সাইফুলকে মারতে বলেন। সাইফুলকে মারার জন্য ওই যুবক তাকে বারবার পেছন থেকে ধাক্কা দিতে থাকেন। তবে কে তাকে এগিয়ে দিয়েছেন তা তিনি নিশ্চিত করেননি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগে বুধবার মধ্যরাতে কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাকে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানায় আনা হয়। আগামীকাল শুক্রবার তাকে আদালতে তোলা হবে।
হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজ ও দুটি ছবিতে দেখা যায়, সিলভার রঙের হেলমেট, কমলা রঙের টি-শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা রামদা হাতে চন্দন দাস এবং লাল হেলমেট, নীল টি-শার্ট ও জিন্স পরা বটি হাতে রিপন আইনজীবী আলিফকে কোপাচ্ছেন। চন্দন দাস নগরীর কোতোয়ালী থানার বান্ডেল সেবক কলোনীর মৃত ধারীর ছেলে। তবে রিপনের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিম সমকালকে বলেন, ‘চন্দনকে চট্টগ্রামে আনা হয়েছে। তাকে শুক্রবার আদালতে পাঠানো হবে।’
হত্যা মামলার তদন্তে যুক্ত এক কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চন্দন জানিয়েছেন, ঘটনার দিন ঝাড়ু নিয়ে তিনি সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কাজে যাওয়া জন্য বের হন। তখন তাকে এক বোতল মদ খাইয়ে দিয়ে এক ব্যক্তি আইনজীবী সাইফুলকে মারতে বলেন।
রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেপ্তারের পর গত ২৬ নভেম্বর সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে আদালতে তোলা হয়। আদালত তার জামিন নামঞ্জুর হলে তাকে কারাগারে নিতে বাঁধা দেয় তার অনুসারীরা। এ সময় পুলিশ ও আইনজীবীদের সঙ্গে চিন্ময়ের অনুসারীদের সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কোপানো হয়। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এই মামলার প্রধান আসামী চন্দন দাস। এছাড়া পুলিশের কাজে বাধাদান ও হামলার অভিযোগে আরও চারটি মামলা হয়েছে।