আগামী বছরের জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ ও ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ঐক্যমতে পৌঁছেছে ছাত্র সংগঠনগুলো। বুধবার সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে অন্যান্য ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর বৈঠক শেষে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
বৈঠক শেষে ব্রিফিংকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের আজকের যে মিটিংটি হয়েছে সেটি হচ্ছে গত সপ্তাহের মিটিংটির ফলোআপ। সেখানে আমরা কয়েকটি বিষয়ে একমত হয়েছি।
মোটা দাগে প্রথমত যে বিষয়ে একমত হয়েছি সেটি হচ্ছে, জানুয়ারির লাস্ট উইক অথবা ফেব্রুয়ারি ফাস্ট উইকের মধ্যে আমরা চাই ডাকসুসহ সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ছাত্র সংসদ নির্বাচন শুরু হয়ে যাক। কারণ মার্চে রোজা রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘসময় ডাকসু নির্বাচন বন্ধ করে রাখা হয়েছিল, পরবর্তীতে ২০১৮ সালে হয়েছিল সেটিও এক ধরনের কন্ট্রোল্ড ইলেকশন ছিল। সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে এসে জাতীয় নির্বাচনের পূর্বেই জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ বা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে হয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের সকল ছাত্র সংগঠন একমত হয়েছে।
ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির সাহিত্য সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ সিবগা বলেন, ‘আমাদের আরো একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, তার মধ্যে একটি হচ্ছে আমরা তো আসলে একটি নতুন রাজনীতি চাচ্ছি। বিশেষ করে ছাত্র সংগঠনগুলোর মাধ্যমে। আজকে যে ছাত্র সংগঠনগুলো উপস্থিত হয়েছে সেখানে আমরা ঐক্যমত হয়েছি যে, আমরা যে সংস্কার চাচ্ছি, সবাই দেশবাসী এবং ছাত্র সমাজ এই সংস্কারটা আসলে কী রকম হবে সেজন্য আগামী ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে সকল ছাত্রসংগঠন একটি করে প্রস্তাবনা দেবো।’
এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দের বৈঠক নিয়ে গণমাধ্যমে যে সংবাদ এসেছে সেটি পুরোপুরি সঠিক নয় জানান হাসনাত আব্দুল্লাহ।
তিনি বলেন, ‘গতকালের মিটিং ছাত্রসংগঠনের মিটিং ছিল না। কিন্তু গণমাধ্যম সেটিকে প্রচার করেছে ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে ড. ইউনূসের মিটিং। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যাদের ডিবিতে নিয়ে গিয়েছিল তাদের এবং বর্তমানে যারা নেতৃত্বে রয়েছে নতুন অর্গানোগ্রামে, আমরা সাম্প্রতিক কনসার্নগুলো জানাতে গতকাল গিয়েছিলাম।’