অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আলিফ বাংলাদেশ বার কাউন্সিল পরিবারের সদস্য। বাংলাদেশ বার কাউন্সিল পরিবার সেই সদস্যকে হারিয়ে অত্যন্ত শোকাহত ও মর্মাহত। বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আপনাদের কাছে, আলিফের জন্মভূমির কাছে, আলিফের বাবার কাছে, আলিফের ভাইদের কাছে, আলিফের বেড়ে ওঠার সাথিদের কাছে এই মর্মে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ—আলিফের হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত বিচার আমরা করবই।’
চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম ওরফে আলিফের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় চুনতি ফারাঙ্গা এলাকায় গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। আজ বুধবার বেলা ১টার দিকে সাইফুলের গ্রামের বাড়িতে পৌঁছান অ্যাটর্নি জেনারেল।
অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আলিফের হত্যাকারী যে–ই হোক, যত ক্ষমতাশালী হোক, আলিফের হত্যাকারীরা আইনের আওতার বাইরে যেতে পারবে না বলে আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। ইতিমধ্যেই আমরা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যা যা করণীয়, আমরা সেটা করছি।’
এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, মো. রুহুল কুদ্দুস, বদরুল আনোয়ার প্রমুখ। তাঁরা প্রথমে সাইফুল ইসলামের কবর জিয়ারত করেন। এরপর উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
সনাতনী জগরণী জোটের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে তাদের পক্ষে কোনো আইনজীবীকে আদালতে যেতে দেওয়া হচ্ছে না এবং হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে সাংবাদিকেরা অ্যাটর্নি জেনারেলের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পথে খুনিরও অধিকার আছে আইনি সহায়তা পাওয়ার। যদি কাউকে আইনি সহায়তা দেওয়ার ব্যাপারে বাধা দেওয়া হয়, আমরা সেটি খতিয়ে দেখব।’
অ্যাটর্নি জেনারেলসহ আইনজীবীরা সাইফুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে তাঁর বাবা জামাল উদ্দিন, মা হোসনে আরা বেগম এবং স্ত্রী ইশরাত জাহানসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সান্ত্বনা দেন। এ সময় সাইফুল ইসলামের পরিবারের সদস্যদের হাতে মোট ১১ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা তুলে দেওয়া হয়।